Loading...

Loading

Loading
(You are in the browser Reader mode)

৩৯ - ঈশ্বরের বাক্যের মাধ্যমে জ্ঞান লাভ

“তোমার বাক্য উন্মোচন জ্যোতি গান করে;
ইহা জ্ঞান দান করে।”
 

সমগ্র বাইবেল যীশু খ্রীষ্টের মহিমার একটা প্রকাশপ্রাপ্তি। এই প্রকাশ প্রাপ্তি গ্রহণ করা হয়েছে, বিশ্বাস করা হয়েছে, পালন করা হয়েছে, যা চরিত্রের রূপান্তরের এটা একটা শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এটা বড় ধরনের উদ্দীপনা; বিরামহীন শক্তি যা শারীরিক, মানসিক, আত্মিক শক্তিকে সঞ্জীবিত করে, এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। MHBen 440.1

যুবক-যুবতী এমনকি যারা পূর্ণবয়স্ক, তারা খুব সহজে প্রলোভন এবং পাপের পথে পরিচালিত হয়, কারণ তারা ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন ও ধ্যান করে না, যেমন তাদের করা উচিত। দৃঢ়, নিশ্চিত ই‪ছা-শক্তি, জীবন এবং চরিত্রে প্রকাশিত হয় যা ঈশ্বরের বাক্যের পবিত্র শিক্ষা অবহেলার ফলাফল। ঐ সকল ঐকান্তিক প্রচেষ্টার দ্বারা মনকে যেদিকে পরিচালিত করে যা খাঁটি পবিত্র চিন্তাকে অনুপ্রাণিত করে ও এটা অপবিত্র এবং অসত্য থেকে মনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। অল্প সংখ্যক লোক রয়েছে, যারা উত্তম অংশ মনোনয়ন করে, যারা যীশুর চরণে বসে যেমন মরিয়ম স্বর্গীয় শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। খুব অল্প লোকেই তাঁর বাক্য তাদের হৃদয় সঞ্চয় করে এবং জীবনে অনুশীলন করে। ‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬‬ MHBen 440.2

বাইবেলের সত্য গ্রহণ মন ও আত্মাকে উন্নত করবে। যদি ঈশ্বরের বাক্য যথাযথরূপে প্রশংসিত হয় যুবক-যুবতী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা অভ্যন্তরীণ ন্যায়পরায়ণতা ধারণ করে, নীতির একটা শক্তি আছে, যা তাদেরকে প্রলোভন প্রতিরোধ করতে সমর্থ করবে। MHBen 440.3

মনুষ্য পবিত্র বাক্যের বহুমূল্য বিষয় সমূহ শিক্ষা জানবে ও শিখবে। চিন্তা, ঝোঁক, মগজের শক্তির সূক্ষ্ম, অনুশীলন, ঈশ্বরের চিন্তারাশি অধ্যয়নে ব্যয়িত হোক। মনুষ্যের ধারণা বা অনুমানের দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন না করে, যিনি সত্য তাঁর দর্শন শাস্ত্র অধ্যয়ন করে। মূল্যের দিক তুলনা করে দেখতে গেলে এর সঙ্গে অন্য কোন সাহিত্য এর সমকক্ষ হয় না। MHBen 441.1

জাগতিক মন ঈশ্বরের বাক্যের ধ্যানে কোন আনন্দ পায় না; কিন্তু মন পবিত্র আত্মা দ্বারা নবায়িত হয়, ঈশ্বরের সৌন্দর্য এবং পবিত্র আত্মা থেকে স্বর্গীয় আলো বিকিরিত হয়। পার্থিব মন অর্থাৎ শূণ্য প্রান্তর, আত্মিক মন একটা জীবন্ত প্রবাহে পরিণত হয়। MHBen 441.2

ঈশ্বরের যে জ্ঞান তাঁর বাক্যে প্রকাশিত হয়েছে তা আমাদের সন্তানদের দিতে হবে। তাদের বুদ্ধি-যুক্তির সূচনা লগ্ন থেকেই যীশু খ্রীষ্টের নাম এবং জীবনীর সঙ্গে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। তাদের সর্ব প্রথম পাঠটি তাদের শিক্ষা দেবে যে, ঈশ্বর তাদের পিতা। তাদের প্রথম প্রশিক্ষণটিকে প্রেমপূর্ণ আজ্ঞাবহতা। শ্রদ্ধাভরে এবং কোমলভাবে তাদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য পাঠ করতে হবে এবং পুনঃ পুনঃ তাদের কাছে বলতে হবে এবং যে অংশ তারা সহজে বুঝতে পারে তাদের আগ্রহ সৃষ্টি করবে এরূপ অংশ তাদের বেছে নিতে হবে। এবং সর্বোপরি, তারা যীশু খ্রীষ্টেতে প্রকাশিত তাঁর প্রেম এবং তার মধ্যে নিহিত মহান শিক্ষা গ্রহণ করবে: MHBen 441.3

“ঈশ্বর যখন এইভাবে আমাদের প্রেম করিলেন তখন আমাদিগকেও একজন অন্যজনকে প্রেম করা উচিত।”(যোহন ৪:১১)। যুবক-যুবতীরা ঈশ্বরের বাক্যকে মন ও আত্মার খাদ্যস্বরূপ করবে। যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশই হবে সকল শিক্ষার বিজ্ঞান, সকল শিক্ষা এবং অধ্যয়নের প্রাণকেন্দ্র। এটাই হবে বাস্তব জীবনের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতা। সুতরাং উদ্ধারকর্তা হবেন যুবক-যুবতীদের কাছে নিত্যদিনের সাথী এবং বন্ধু। প্রতিটা চিন্তাযীশুর প্রতি আজ্ঞাবহতায় বন্দি থাকবে। তারা প্রেরিত পৌলের সঙ্গে বলবে: MHBen 441.4

“ঈশ্বর পুত্র যীশুর ক্রুশ ছাড়া আমি যেন আর কিছুতে গর্ব না করি। এই ক্রুশের মধ্য দিয়াই পৃথিবী আমার নিকটে মরিয়া গিয়াছে এবং আমিও পৃথিবীর নিকটে মরিয়া গিয়াছি।” (গালাতীয় ৬:১৪)। MHBen 442.1