Loading...

Loading

Loading
(You are in the browser Reader mode)

২৫—ইস্রায়েলরা মিসর পরিত্যাগ করে

ভোর হবার আগেই ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা শুরু করল। বিপদ সমূহের সময় ইস্রায়েলরা ধীরে ধীরে গোশনে একত্রিত হয়েছিল। ভিন্ন ভিন্ন নেতাদের অধীনে ভিন্ন দলে বিভক্তির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় সংগঠন সৃষ্টি করে যাত্রাকারী দলের নিয়ন্ত্রণ করার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।  PPBeng 198.1

আর তারা যাত্রা শুরু করল, “বালক ছাড়া কমবেশ ছয় লক্ষ পদাতিক পুরুষ ....এবং তাহাদের সহিত মিশ্রিত লোকদের মহা জনতা”--- তারাই নয় যারা যিহূদীদের ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস এনেছিল, কিন্তু যারা বিপদ হতে বাঁচতে চেয়েছিল তারাও ছিল। এই দল ইস্রায়েল-সন্তানদের জন্য সর্বদাই একটি বাধা ও প্রলোভনস্বরূপ ছিল ।  PPBeng 198.2

লোকেরা তাদের সাথে “ভেড়া ও গরু, বিস্তর পশু নিয়ে চলল।” মিসর ত্যাগ করার প্রাক্কালে লোকেরা তাদের অপরিশোধিত শ্রমের মূল্য দাবী করেছিল; এবং দাসেরা এখন তাদের মালপত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করল। “এইরূপে সদাপ্রভু ... দলে দলে ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে মিসর দেশ হইতে বাহির করিয়া আনিলেন।” ইস্রায়েলরা যোষেফের হাড়গুলি সঙ্গে নিয়ে এলেন, যে হাড়গুলিতে দাসত্বের অন্ধকারাচ্ছন্ন বৎসরগুলিতে ইস্রায়েলদের প্রতিজ্ঞাত মুক্তির প্রতীকস্বরূপ ছিল ।  PPBeng 198.3

পলেষ্টাইনের মধ্য দিয়ে কনানের দিকের সোজা পথ গ্রহণ না করে, সদাপ্রভু তাদের দক্ষিণ দিকের লোহিত সাগরের পথের দিকে নির্দেশ দিলেন । “কেননা ঈশ্বর বলিলেন, যুদ্ধ দেখিলে পাছে লোকেরা অনুতাপ করিয়া মিসরে ফিরিয়া যায়।” দাসগণ মনিবদের নিকট হইতে পালাচ্ছে মনে করে পলেষ্টীয়রা তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে অন্যথা করত না। ইস্রায়েলদের ঈশ্বরের বিষয়ে খুব সীমিত স্থান ছিল এবং তাঁর উপর তাদের বিশ্বাসও খুব দুর্বল ছিল, এবং তারা ভীত হয়ে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়তে পারত। তারা অস্ত্রহীন ছিল, এবং যুদ্ধের বিষয়ে অনভ্যস্ত ছিল, তারা মহিলা ও শিশু, ভেড়া ও পশু পাল দ্বারা বাধাগ্রস্ত ছিল। লোহিত সাগরের দিকে পরিচালনার মাধ্যমে সদাপ্রভু তাদের নিকট নিজেকে একজন প্রেমিক ঈশ্বররূপে প্রকাশ করলেন।  PPBeng 198.4